মালিক নারী
১০ এপ্রিল ২০১৩কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, প্রায় অর্ধেক নারীই এসব খামারের মালিক নন৷ মালিক হচ্ছেন তাঁদের স্বামীরা, যারা চাকরির আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে থাকছেন৷
জমির মালিকানা না থাকায় নারীদের নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ যেমন তাঁরা কোনো সমিতির সদস্য হতে পারছেন না৷ অথচ সেটা সম্ভব হলে ফসল উৎপাদন ও বিক্রি বাড়াতে সমিতি থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে পারতেন তাঁরা৷
এছাড়া জমির মালিকানা না থাকার কারণে ব্যাংক থেকে ঋণও পাওয়া যাচ্ছে না৷ ফলে উৎপাদন বাড়াতে নতুন প্রযুক্তি কেনা এবং অন্য কারও সাহায্য নেয়ার মতো সুযোগ পাচ্ছেন না নারী কৃষকরা৷
২০১০ সালে সংবিধান সংশোধন করে নারীদের সমানাধিকার দেয়া হয়েছে৷ ফলে এখন তাঁরা উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেতে পারেন এবং জমির মালিকও হতে পারেন৷
কিন্তু এই সংশোধিত আইন সম্পর্কে গ্রামের লোকজন এখনো তেমন কিছু জানে না৷ ফলে অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়৷
তবে নারী কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ কেনিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওবওবা কিপ্রোটিচ বলছেন, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে নারী কৃষকদের৷ এছাড়া তাঁরা যেন উৎপাদিত ফসলের সঠিক বাজার খুঁজে পান সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷